Skip to main content

Posts

Showing posts from 2022

আপনার মাঝে যে কাজ গুলো থাকলে নিজেকে ব্যক্তিত্ববান মানুষ হিসাবে বুঝবেন…

আপনার মাঝে যে কাজ গুলো থাকলে নিজেকে ব্যক্তিত্ববান মানুষ হিসাবে বুঝবেন… কাজ গুলো হচ্ছে: ১/ আগে সালাম দিন। ২/ হাঁসিমুখে কথা বলুন। ৩/ শুনুন বেশি, বলুন কম। ৪/ তামাসার ছলেও মিথ্যা বলবেন না। ৫/ কথা দিলে কথা রাখার চেষ্টা করুন।  ৬/ ভুল হলে বিনয়ের সাথে সরি বলুন।  ৭/ অকারণে হাঁসবেন না। ৮/ ধীরে ধীরে বুঝিয়ে কথা বলুন।  ৯/ আগে অন্যের কথা শুনুন, পরে নিজে বলুন।  ১০/ অজানা বিষয় নিয়ে তর্কে জড়াবেন না। ১১/ কারো কাছে শ্রেষ্টত্ব প্রকাশ করবেন না।  ১২/ রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।  ১৩/ কেউ ভুল করলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখুন।  ১৪/ ছোট বড় সবাইকে সম্মান করুন।  ১৫/ পোশাকে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।  ১৬/ পারলে খাওয়ান, জোর করে খাবেন না। ১৭/ খাবার সামনে এলে আগে অন্যকে দিন।  ১৮/ মুখ ও শরীর দুর্গন্ধ মুক্ত রাখুন।  ১৯/ চরিত্র সুন্দর রাখুন।  ২০/ নিজেকে সবসময় ছোট ভাবুন, ব্যবহারে নম্রতা দেখান । উপরোক্ত কাজ গুলো আপনার মাঝে থাকলে আপনি একজন আসল ব্যাক্তিত্ববান মানুষ… এই কাজ গুলো শুধু ব্যাক্তিত্ববান কেই প্রকাশ করে নাহ, এগুলো দ্বারা আপনি মানুষ এবং আল্লাহর কাছে প্রিয় একজন ব্যাক্তি হিসাবে পরিচিত হবেন…এবং সৃষ্টার প্রিয় হয়ে উটবে

যারা গান বাজনা শুনেন বা কানে ইয়ারফোনের মাধ্যমে শুনেন তাদের জন্য কিছু ভয়াবহ গুুত্বপূর্ণ কথা…

যারা গান বাজনা শুনেন বা কানে ইয়ারফোনের মাধ্যমে শুনেন তাদের জন্য কিছু ভয়াবয় গুুত্বপূর্ণ কথা…  ১| ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা মদ, জুয়া ও সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র হারাম করেছেন’। ( বায়হাক্বী, হাদীছ ছহীহ, মিশকাত হা/৪৫০৩; বাংলা মিশকাত ৮ম খণ্ড হা/৪৩০৪) ২| আবু ওমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা গায়িকা নর্তকীদের বিক্রয় কর না, তাদের ক্রয় কর না, তাদের গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র শিখিয়ে দিয়ো না, তাদের উপার্জন হারাম।  (ইবনে মাজাহ, মিশকাত হা/২৭৮০) নাফে‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ একদা ইবনু ওমর (রাঃ) বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শুনতে পেলে তিনি তাঁর দুই কানে দুই আঙ্গুল ঢুকিয়ে রাস্তা হতে সরে গেলেন। তারপর তিনি আমাকে বললেন, নাফে’ তুমি কিছু শুনতে পাচ্ছ কি? আমি বললাম, না। তিনি তার দুই আঙ্গুল দুই কান হতে বের করে বললেন, আমি একদা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। তিনি বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শুনে কানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে রাস্তা হতে সরে গিয়েছিলেন এবং আমাকে এভাবে জিজ্ঞেস করেছিলেন যেভাবে আজ তোমাকে আমি জিজ্ঞ

জেনে নিন কোন কাজ গুলো আপনার সাথে হলে বুঝবেন আপনার ওপর আল্লাহর রহমত নাযিল হচ্ছে…

জেনে নিন কোন কাজ গুলো আপনার সাথে হলে বুঝবেন আপনার ওপর আল্লাহর রহমত নাযিল হচ্ছে… 22 টি কাজ নিম্নে দেওয়া হলো… ১. নিজের দোষ নিজে দেখতে পারলে। ২.নামাজ কোন কারনে কাজা হলে আপনার মন খারাপ লাগলে। ৩.নিজের কৃতকর্মের কথা, নিজের অতীত ভুলে মনে পরলে যদি আপনার চোখ দিয়ে পানি ঝরে। ৪.বাবা মায়ের খেদমত করতে পারলে এবং করতে পেরে নিজের মন খুশি হলে। ৫.পর্দা ছাড়া বাইরে যেতে মন না চাইলে । ৬.খারাপ কাজ করতে গেলে যদি এই ভয়ে ছেড়ে দেন যে এটার জন্য আল্লাহর কাছে শাস্তি পেতে হবে।আমার এই খারাপ কাছ থেকেও না দেখলেও আল্লাহ দেখছেন । ৭.যৌবনকালে আল্লাহর ইবাদত করতে পারলে । ৮.আল্লাহকে খুশি করার জন্য যদি কোন কাজ করতে পারেন । ৯.দান সদকা করতে পারলে শুধুমাত্র আল্লাহর খুশির জন্য । ১০.নামাজ পড়তে যদি আপনার খুব ভালো লাগে । ১১.বিপদে যদি ধৈর্য ধারণ করতে পারেন এই ভেবে যে আল্লাহ হয়তো আমার পরীক্ষা নিচ্ছে। দুখের পরে সুখ পাব ইনশাআল্লাহ । ১২.যদি রমজান মাস তাকে কাজে লাগাতে পারেন । ১৩.যদি আপনার মনের কথাগুলো আল্লাহকে বলতে ভালো লাগে । ১৪.যদি আপনার রাগকে কন্ট্রোল করতে পারেন । ১৫.আল্লাহর ভয় যদি যিনা না করেন । ১৬, গভীর রাতে ঘুমানোর আগে যদি দোয

ফজরের নামাজ পড়লে আটটি জিনিস আপনার জন্য অপেক্ষমান, জেনে নিন…

  ফজরের নামাজ পড়লে আটটি জিনিস আপনার জন্য অপেক্ষমান, জেনে নিন… (১) ফজরের নামাজে দাড়ানো, সারা রাত দাড়িয়ে নামাজ পড়ার সমান। হাদীস : যে ব্যক্তি জামাতের সাথে এশার নামাজ আদায় করলো, সে যেন অর্ধেক রাত জেগে নামাজ পড়লো। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে পড়লো, সে যেন পুরো রাত জেগে নামাজ পড়লো । ’ (মুসলিম শরিফ) (২) ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে। হাদীস:যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে।’ (মুসলিম ৬৫৭) (৩) সরাসরি জান্নাত প্রাপ্তি- হাদীস: ‘যে ব্যক্তি দুই শীতল (নামাজ) পড়বে, জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর দুই শীতল (নামাজ) হলো ফজর ও আসর।’ (বুখারী) (৪) রিজিকের বরকত আসবে- আল্লামা ইবনুল কাইয়িম রহ. বলেছেন, সকালবেলার ঘুম ঘরে রিজিক আসতে বাঁধা দেয়। কেননা তখন রিজিক বন্টন করা হয়। (৫) ফজরের নামাজ পড়লে, দুনিয়া আখেরাতের সেরা বস্তু অর্জিত হয়ে যাবে- হাদীস: ‘ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে, সবকিছুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ।’ (তিরিমিযি) (৬) সরাসরি আল্লাহর দরবারে নিজের নাম আলোচিত হবে- হাদীস: তোমাদের কাছে পালাক্রমে দিনে ও রাতে ফেরেশতারা আসে। তারা আসর ও ফজরের

১৬ টি কুফরি বাক্য যা আমরা নিয়মিত বলে থাকি…

  ১৬ টি কুফরি বাক্য যা আমরা নিয়মিত বলে থাকি… কাফির বা কাফের (‎كافر - kafir‎‎) একটি আরবি শব্দ, যা আরবি কুফর ‎( ‎‏كفّار - kuffār‎‎) ধাতু থেকে আগত, যার শাব্দিক অর্থ হল ঢেকে রাখা, লুকিয়ে রাখা এবং এর ব্যবহারিক অর্থ হল অবাধ্যতা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় কুফর ঈমানের বিপরীত। আর তা হল আল্লাহ এবং তার রাসূলের প্রতি ঈমান না রাখা, চাই তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হোক কিংবা না হোক, বরং তা যদি সন্দেহ ও সংশয় প্রসূতও হয়ে থাকে, কিংবা ঈর্ষা ও অহংকারবশতঃ বা রিসালাতের অনুসরণ থেকে ফিরিয়ে রাখে এমন কোনো প্রবৃত্তির অনুকরণবশতঃ ঈমান থেকে দূরে সরে থাকার কারণেও হয়ে থাকে। কুফরী বাক্য গুলো নিম্ন রূপ: ১. আল্লাহও লাগে ইল্লাও লাগে। ২.তোর মুখে ফুল চন্দন পড়ুক। (ফুল চন্দন হিন্দুদের পূজা করার সামগ্রী) ৩.কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে (কেষ্ট হিন্দু দেবির নাম, তাকে পাবার জন্য কষ্ট করছেন?) ৪.মহাভারত কি অশুদ্ধ হয়ে গেল? (মহাভারত একটি উপন্যাস, যা সবসময় অশুদ্ধ) ৫.মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। (এটি ইসলামের নামে কটুক্তি করা) ৬.লক্ষী ছেলে, লক্ষী মেয়ে লক্ষী স্ত্রী বলা। (হিন্দুদের দেব-দেবির নাম লক্ষী তাই ইসলামে

মানুষের মাঝে কম কথা বলা নিয়ে কিছু কথা

  মানুষের মাঝে কম কথা বলা নিয়ে কিছু কথা কথা কম বলা মুমিনের অন্যতম একটি মহৎ গুণ। কম কথা বলার অনেক উপকার রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম হলো এতে মানুষ পাপ মুক্ত থাকে। কেননা বেশিরভাগ পাপ হয় বান্দার মুখ ও লজ্জাস্থান থেকে। আমরা যখন কোনো স্থানে বা কোনো ব্যক্তির সাথে কথা বলতে যাবো , তখন যেনো কম কথা বলি। কেননা এমন ও হতে পারে, অতিরিক্ত কথা বলায়, কথার মধ্যে ভুল ত্রুটি হতে পারে । এতে করে আমাদের মানসম্মানের ঘাটতিও হতে পারে। এ জন্য আল্লাহ্ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কম কথা বলা নিয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন…সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো… আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,  ওই ব্যক্তি প্রকৃত মুমিন নয়, যে উপহাস করে, মানুষকে অভিশাপ দেয়, অশ্লীল কথা বলে এবং যে বাচাল। -তিরমিজি বেশি কথা বলার কারণে আমরা খুব সহজেই গুনাহে লিপ্ত হয়ে যাই। গীবত,পরনীন্দা,হিংসা, মারামারি এবং ঝগড়া-বিবাদ এগুলো সব আমরা বেশি কথা বলার কারণে করি।  হাদিসে আরও ইরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে- অন্যথায় চুপ থাকে। অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, যে চুপ থাকে সে মুক্তি পায়। ইসলামিক

জিহ্বা দ্বারা যে ১৯টি গোনাহের কাজ সংঘটিত হয়

  জিহ্বা দ্বারা যে ১৯টি গোনাহের কাজ সংঘটিত হয়  ১) কাউকে খারাপ নামে ডাকা/নাম ব্যঙ্গ করা। ২) কারো সাথে ঠাট্টা বা বিদ্রূপ করা। ৩) অশ্লীল ও খারাপ কথা বলা। ৪) কাউকে গালি দেয়া। ৫) কারও নিন্দা করা। ৬) কাউকে অপবাদ দেয়া। ৭) চোগলখুরী করা। ৮) বিনা প্রয়োজনে কারো গোপনীয়তা ফাঁস করে দেয়া। ৯) মোনাফিকী করা ও দুই মুখে (দ্বিমুখী) কথা বলা। ১০) বেহুদা ও অতিরিক্ত কথা বলা। ১১) বাতিল ও হারাম জিনিস নিয়ে আলোচনা করে আনন্দ লাভ করা। ১২) কারও গীবত করা। ১৩) কারো খারাপ উপনামে ডাকা। ১৪) কাউকে অভিশাপ দেয়া। ১৫) মিথ্যা স্বপ্ন বলা। ১৬) অনর্থক চিৎকার বা চেঁচামেচি করা। ১৭) জিহ্বা দিয়ে হারাম বস্তুর স্বাদ নেয়া, গ্রহণ করা বা খাওয়া। ১৮) জিহ্বা দিয়ে খারাপ অর্থে কাউকে কোন ভঙ্গি করা বা দেখানো। ১৯) কোনো কথা নিশ্চিত না হয়ে অন্যের কাছে বলে বেড়ানো। জিহ্বা সম্পর্কিত একটি ছোট হাদীস: *সাহাল ইবনে সায়াদ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ (স:) বলেছেন, 'যে ব্যক্তি দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী অঙ্গ (জিহ্বা) এবং দুই উরুর মধ্যবর্তী অঙ্গ (লজ্জাস্থান) হেফাজতের নিশ্চয়তা দেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব।' (বুখারী : ৬৪৭৪)