Skip to main content

সাড়ে ৬ কোটির বেশি হাফেজ রয়েছে সারা বিশ্বে

 সাড়ে ৬ কোটির বেশি হাফেজ রয়েছে সারাবিশ্বে

ছবি সংগৃহীত


হাফেজ বলতে ইতি মধ্যে সবারই জানা আছে।হাফেজ বলতে বুঝানো হয়, যার সমস্ত কোরআন মুখস্থ আছে। সারাবিশ্বে হাফেজে কোরআনদের বেশ সম্মানের চোখে দেখা হয়, সম্মান করা হয়। কোরআন ব্যাতীত পৃথিবীতে আর কোনো বই কী আছে, যার শুরু থেকে শেষ অবধি কেউ মুখস্থ করেছেন? মনে হয় নেই, কারণ তা সম্ভব নয়। কিন্তু বিশ্বে পবিত্র কোরআনের সাড়ে ৬ কোটিরও বেশি সংখ্যক হাফেজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে একটি জরিপ সংস্থা।


সংস্থাটি জানিয়েছে, এটা একটি মতামতভিত্তিক জরিপ। জরিপের ফলাফল প্রকাশের সময় সংস্থাটি আরও জানিয়েছে। প্রতিদিন এ সংখ্যা বেড়ে চলেছে। আর এমন মানুষ আছেন, যারা কোরআন মুখস্থ করেছেন, কিন্তু প্রকাশ করেননি। ৪-৫ বছর বয়সের শিশু থেকে শুরু করে, নারী, যুবক, অন্ধ এমনকি বৃদ্ধরাও ত্রিশপারার বিশাল কিতাব পুরোপুরি মুখস্থ করেছেন, অনেক অমুসলিমও কোরআন মুখস্থ করেছেন।


কোরআন ব্যতীত এমন নজির আর আছে কি? এটা আল্লাহর কালাম কোরআনের অলৌকিকতা আর কী হতে পারে? পৃথিবীর সমস্ত ছাপা কোরআন, রেকর্ড, ক্যাসেট, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি ধ্বংস করে ফেললেও এর কপি হাফেজদের কাছ থেকে সহজেই পাওয়া যাবে। অন্যকোনো গ্রন্থের এমনটি অসম্ভব। কারণ মানবপ্রণীত কোনো গ্রন্থ হুবহু কারও মুখস্থ নেই।



প্রায় ১৪ শত বছর আগের তুলির সাহায্যে লেখা আর বর্তমান কম্পিউটার যুগের কোরআনের মধ্যে বিন্দুমাত্র ফারাক নেই। এমন উদাহরণ আর কী আছে? নিশ্চয়ই নেই।


এর কারণ হচ্ছে, কোরআন সর্বশেষ আসমানি কিতাব। এর সংরক্ষক আল্লাহতায়ালা স্বয়ং। পবিত্র কোরআনের মতো এমন অলৌকিক নজির আর কোথাও খুঁজে পাওয়া মুশকিল।


আর এ জন্যই পবিত্র আল্লাহতায়ালা কোরআনের শুরুতে মানবজাতিকে সচকিত করে ঘোষণা করেন, ‘এটি এমন এক কিতাব (বিধান), যার মধ্যে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি নেই।’ -সূরা বাকারা: ২য় আয়াতের ১ম অংশ


আমরা জানি, কোরআন নাজিলের আগেও অনেক গ্রন্থ রচিত হয়েছে, এরপর ১৪ শত বছরের অধিককাল ধরে পৃথিবীজুড়ে কোটি কোটি গ্রন্থ প্রণীত হয়েছে। এসব গ্রন্থ মানবরচিত হলেও এর অনেকগুলোতে মূল্যবান অনেক কথা, তত্ত্ব, তথ্য-উপাত্ত ও বিবরণ রয়েছে। কিন্তু সেগুলোর সিংহভাগই কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এক সময়ের তুমুল পাঠকপ্রিয়তা পাওয়া এমন অনেক গ্রন্থের নামও জানে না এখনকার মানুষ। এখন পর্যন্ত যেগুলো টিকে আছে, সেগুলোরও ব্যাপক সংস্কার, সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন ঘটেছে। কিন্তু আল্লাহর কিতাব কোরআনে কারিমের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন নেই, সংস্কার নেই; পরিবর্তন নেই।


নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়তি জিন্দেগির ২৩ বছরে কোরআন যেভাবে নাজিল হয়েছিল, হুবহু সেভাবেই সমগ্র দুনিয়াজুড়ে রয়েছে। শুধু কি মানুষের লেখা গ্রন্থই বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হয়েছে? না, নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর পূর্ববর্তী নবী-রাসূলদের কাছে যেসব আসমানি কিতাব নাজিল হয়েছিল, সেগুলোও অপরিবর্তিত অবস্থায় নেই। তার কারণ হচ্ছে, সর্বশেষ কিতাব নাজিলের পর পূর্বেকার সমস্ত বিধান বাতিল হয়ে গেছে।


‘এ কিতাবে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি নেই।’ মানুষের লেখা কোনো একটি গ্রন্থের শুরুতে এভাবে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস করেনি কোনো লেখক। বরং প্রত্যেক গ্রন্থকার বইয়ের শুরুতে উল্লেখ করে দেন, ‘ভুলত্রুটি মার্জনীয়, কোনো পাঠক ভুল-ত্রুটি পেলে অনুগ্রহ করে আমাদের জানালে পরবর্তী সংস্করণে তা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করবো।’ অর্থাৎ মানুষের কোনো কাজ ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়, এটাই স্বাভাবিক।


পৃথিবীর বহু পণ্ডিত পবিত্র কোরআনের খুঁত ধরতে এসে বিস্ময়ে বিমুগ্ধ হয়ে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছেন প্রতিদিন। ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে রোজ এমন ঘটনা ঘটছে।


কোরআন নাজিলের সময়কালে আরবের কবিরা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছিল, কোরআনের মতো তারাও নিখুঁত বাণী লেখতে সক্ষম। আল্লাহতায়ালাও তার রাসূল (সা.)-এর কাছে অহির মাধ্যমে জানান, ঠিক আছে। ওরা লেখুক। কিন্তু আরবের সব কবি একসঙ্গে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বলতে বাধ্য হন, এ হলো আসলেই মহান আল্লাহর বাণী।


কোরআনে কারিম যে আল্লাহর বাণী তা বহুভাবে বহুবার প্রমাণিত হয়েছে। পৃথিবীর কোনো পণ্ডিত এতে সামান্যতম ভুল খুঁজে পাননি, পাওয়ার উপায়ও নেই।


এই কোরআন শুধু মুসলিমদের নয়, এটা সমগ্র মানবজাতির এক মহাসম্পদ। এর আলোয় আলোকিত হওয়ার অধিকার রয়েছে প্রত্যেক মানুষের। এ কিতাব শুধু মুসলিমরাই পড়বে- এমন নয়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবাই এ কিতাব নির্দ্বিধায়-নির্বিঘ্নে অধ্যয়ন করতে পারেন। পারেন এর মর্ম উপলব্ধি করতে।


হেরা গুহায় বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ধ্যানমগ্ন থাকা অবস্থায় প্রথম যে অহি নাজিল হয়েছিল তা কী ছিল- জানেন নিশ্চয়ই। তা ছিল, ‘পড়ুন আপনার রবের নামে যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন।’ এই যে ‘পড়ুন’ শব্দ, এর তাৎপর্য হচ্ছে- মানুষকে পড়তে হবে, অধ্যয়ন করতে হবে। বিদ্যার্জন ব্যতীত কল্যাণ যেমন নিজের জন্য সম্ভব নয়, তেমন অন্যের জন্যও তা সম্ভব নয়। শিক্ষাই হচ্ছে উন্নয়ন ও সভ্যতার চাবিকাঠি, শিক্ষার মধ্যেই মানবতার প্রকৃত মুক্তি। তাই প্রথম অহির বাণীই হলো- পাঠ করুন।


বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে ভারতীয় ধর্মগ্রন্থসমূহ বিশেষ শ্রেণির পুরুষ ব্যতীত অন্যদের জন্য পঠনপাঠনসহ শ্রবণ পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিল। তাই সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল ভারতীয় ধর্মগ্রন্থসমূহ। কিন্তু কোরআন অধ্যয়ন, পঠনপাঠন সবশ্রেণির মানুষের জন্য উন্মুক্ত। কোরআন সব মানুষের কাছে খোলামেলা।


অনেকে মনে করেন, কোরআন কেবল মুসলিমদের জন্য। কোনো কোনো মুসলিমেরও এমন ধারণা রয়েছে, তা ঠিক নয়। কোরআন সবমানুষের জন্য নাজিল হয়েছে। পৃথিবীর আলো-বাতাস, খাদ্য-পানীয়তে যেমন সমান অধিকার, তেমনই পবিত্র কোরআন আল্লাহর তরফ থেকে একটি বিশেষ রহমত ও নিয়ামত। এ কিতাব কোনো জাতির একক সম্পদ নয়। সূর্যের আলো যেমন সবার জন্য উন্মুক্ত, তেমনই কোরআনের জ্ঞান অর্জনসহ এ থেকে সবমানুষই ফায়দা নিতে পারেন।


যারা এ চিরশাশ্বত নিয়ামত থেকে বঞ্চিত তারা সত্যিকার অর্থেই হতভাগ্য। হঠকারিতা নয়, বিদ্বেষে অন্ধ হয়ে নয়, কোনো ভাবাদর্শে আপ্লুত কিংবা আবেগতাড়িত হয়ে নয়, গভীর আন্তরিকতা ও ঔদার্য নিয়ে এসব কথা ভাবুন। তাহলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন মনোজগতের দুয়ার খুলে যাবে সহসা।


বৃটিশ সংস্থা ‘ফেইথ ম্যাটার্স’র গবেষণা জরিপে উল্লেখ করা হয় যে, সম্প্রতি শুধু বৃটেনে ১০ বছরে ৪০ হাজারের অধিক তরুণ-তরুণী পবিত্র কালেমা পড়ে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের ইসলাম গ্রহণের পেছনে কোরআন বিশাল ভূমিকা রেখেছে। আসলে কোরআনই পারে মানুষের অন্ধকারাচ্ছন্ন মনোজগতের দুয়ার খুলতে। যখন কেউ পবিত্র কালেমার প্রকৃত তাৎপর্য ও মর্মার্থ মনেপ্রাণে উপলব্ধি করতে পারেন, তখন তার জীবন বিপন্ন হলেও তা আঁকড়ে থাকেন। মৃত্যুর ভয়ও তার থাকে না। কালেমার দাবির কাছে মানুষের জীবন অতি তুচ্ছ এবং নগণ্য প্রতিপন্ন হয়। এটাও কিন্তু কোরআনে কারিমের অলৌকিক শক্তি। আর হাফেজে কোরআন কিংবা সাধারণ মুসলমান হিসেবে যারা কোরআন মুখস্থ ও তেলাওয়াত করেন- তারাও হৃদয়ের গভীরে এক প্রশান্তি অনুভব করেন। এই প্রশান্তির অনুভূতি বলে কিংবা লিখে বুঝানো সম্ভব নয়। এটাও কোরআনের আরেক অলৌকিকত্ব ও বরকত।©®

Comments

Post a Comment

আপনার ইতিবাচক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Popular posts from this blog

মূর্তির পায়ের নিচে পবিত্র কুরআন রেখে অবমাননা করে দেশে দাঙ্গামা হাঙ্গগামা বাঁধানোর

মূর্তির পায়ের নিচে পবিত্র কুরআন রেখে অবমাননা করে দেশে দাঙ্গামা হাঙ্গগামা বাঁধানোর চেষ্টা চলছে   ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান কুমিল্লার নানুয়ার দিঘীর পাড় পূজা মণ্ডপে মূর্তির পায়ের নিচে পবিত্র কুরআন রেখে অবমাননা করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আজ ১৩ অক্টোবর ২০২১ এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, পূজা মণ্ডপে দেবতার পায়ের নিচে পবিত্র কুরআনের অবমাননা করে দেশে ধর্মীয় দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাঁধানোর চক্রান্ত রুঁখে দিতে হবে। তারা বলেন, পূজা মণ্ডপে মূর্তির পায়ের নিচে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন রেখে অবমাননার নিন্দা ও প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। শতকরা ৯২ ভাগ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যে নিরাপত্তা ও অতিমাত্রায় নাগরিক সুবিধা ভোগ করছে, বিশ্বে এমন দৃষ্টান্ত নজিরবিহীন। তারপরও কিছু স্বার্থান্বেষী চিহ্নিত মহল বারবার ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি ষড়যন্ত্র কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। এহেন পর

2 দিন পর্যন্ত কাজী ইব্রাহিমের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন

দিন পর্যন্ত কাজী ইব্রাহিমের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বাংলাদেশের রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এবং ৪২০, ৪০৬, ৩৮৫ ও ৫০৬ ধারায় চাঁদাবাজি, অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতারণার অভিযোগে মুফতি কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলায় মুফতি কাজী ইব্রাহিমের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পরিদর্শক মো. হাসানুজ্জামান এই রিমান্ডের আবেদন জারি করেন। ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ব্যাবহার করে নানান বক্তব্য দিয়ে আলোচিত মুফতি কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ডিএমপি’র গোয়েন্দা সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে গতকাল সকালে মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে জেডএম রানা নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় ৪২০, ৪০৬ ও ৩৮৫, ৫০৬ ধারায় চাঁদাবাজি, অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতারণার অভিযোগে মুফতি কাজী ইব্রাহিমে

আবার চালু হতে যাচ্ছে মেগাবাইট ছাড়া ফেসবুক আর মেসেঞ্জার, পাঠানো যাবে ফ্রি টেক্সট ছবি ব্যতীত

আবার চালু হতে যাচ্ছে মেগাবাইট  ছাড়া ফেসবুক  আর মেসেঞ্জার, পাঠানো যাবে ফ্রি টেক্সট ছবি ব্যতীত শুরু হতে যাচ্ছে,  মোবাইলে মেগাবাইট না থাকলেও জরুরি প্রয়োজনে ফেসবুক আর মেসেঞ্জার ব্যবহার করে টেক্সট পাঠানো যাবে।কিন্তু কোনো প্রকার ছবি পাঠানো যাবে নাহ। এ সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও মোবাইল অপারেটরগুলো। এজন্য ‘শুধু টেক্সটের মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য ফেসবুক , মেসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপ’ উদ্বোধন করা হবে। একই সঙ্গে ‘মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা’ও প্রকাশ করবে বিটিআরসি। পাশাপাশি ফোনের ব্যাপক ব্যাবহার যোগ্য অ্যাপস ফেসবুক লাইট & অফিসিয়াল ফেসবুক ফ্রি তেই চালানো যাবে।এবং মেসেঞ্জার এ টেক্সট করা যাবে কিন্তু ছবি আদান প্রদান করা যাবে নাহ। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ‘মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা এবং শুধুমাত্র টেক্সটের মাধ্যমে ফেসবুক মেসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপ’ উদ্বোধন করা হবে। বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং সচিব মো. খলিলুর রহমান উপস্থিত থাকবেন। বিটিআরসি

হেমন্তকালীন বন্যা তিস্তা ব্যারেজ

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে অসময়ে বন্যা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে এখন বিপদসীমার  ৫০ সেমি উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।  ভারতে তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ব্যারাজের কয়েকটি গেট খুলে দেয়ায় ২৫২০০০ কিউসেক পানি প্রবাহিত হচ্ছে। হলুদ সতর্কতা জারী।  লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, পাটিকাপাড়া, সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নগুলোর অংশবিশেষ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে অসংখ্য করা যাচ্ছে। হেমন্তকালীন বন্যা থেকে আল্লাহ সকলকে রক্ষা কর।

কলেজ ছাত্র কে অপহরণ করে বিয়ে করলেন তরুণী

  কলেজ ছাত্র কে অপহরণ করে বিয়ে করলেন তরুণী পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ছাত্র নাজমুল আকনকে (২৩) অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণীর বিরুদ্ধে। গত ৩ অক্টোবর নাজমুল বাদী হয়ে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এক নারীসহ অজ্ঞাত ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। নাজমুল মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের জালাল আকনের ছেলে। রবিবার (১৭ অক্টোবর) নাজমুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, নাজমুল পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একজন ছাত্র। তিনি সরকারি কলেজের আবাসিক হোস্টেলে থাকেন। দীর্ঘ দিন ধরে নাজমুলকে মুঠোফোনে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রলোভন দেখাচ্ছিলেন এক নারী। কিন্তু নাজমুল রাজি না হওয়ায় ২৭ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করে। ২৮ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ৭ থেকে ৮ জন লোক জোর করে তাকে দিয়ে একটি নীল কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। ধারণা করা হচ্ছে, এ দিয়ে তারা একটি কাবিননামা তৈরির চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আদালত মামলাটি এজাহা

২০২২ সালের এসএসসি হবে এপ্রিলে এবং এইচএসসি হবে জুনে…

২০২২ সালের  এসএসসি হবে  এপ্রিলে এবং এইচএসসি হবে জুনে…  আগামী ২০২২ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা এপ্রিলে এবং উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা জুন মাসে অনুষ্ঠিত হবে। দুটি পরীক্ষাই হবে সীমিত বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। এছাড়া চলতি বছরের মতোই পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে গ্রম্নপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অন্য বিষয়গুলো অ্যাসাইমেন্টভিত্তিক মূল্যায়ন করা হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র আরও জানায়, আগামী বছরের শুরুতেই গ্রম্নপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস দেওয়া হবে এবং তারই ভিত্তিতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস শেষ করেই এপ্রিলে এসএসসি এবং জুনে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এবং ঢাকা বোর্ড সচিব তপন কুমার সরকার মঙ্গলবার যায়যায়াদিনকে বলেন, নভেম্বরে এসএসসি, ডিসেম্বরে এইচএসসি এবং স্কুলগুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা চলবে। ফেব্রম্নয়ারিতে তাই এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। এছাড়া পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদে

মাদ্রাসা ও কারিগরির এমপিওভুক্তির আবেদন শুরু ১০ অক্টোবর, HM MEDIA 19

মাদ্রাসা ও কারিগরির এমপিওভুক্তির আবেদন শুরু ১০ অক্টোবর। দুই বছর পর আবার বেসরকারি স্কুল–কলেজ এমপিওভুক্ত করতে যাচ্ছে সরকার। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ( কারিগরি ও মাদ্রাসা) এমপিওভুক্তকরণ কার্যক্রম শুরু ১০ অক্টোবর। অনলাইনে এ আবেদন কার্যক্রম ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। একই দিনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে বেসরকারি স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্ত করতে আলাদা একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা মাসে বেতনের মূল অংশ ও কিছু ভাতা সরকার থেকে পেয়ে থাকেন। এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে দীর্ঘ ৯ বছর পর ২ হাজার ৭৩০টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করেছিল সরকার। তারও আগে ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। এই এমপিওভুক্তির দাবিতে বিভিন্ন সময় শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (www.shed.gov.bd), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (www.dshe.gov.bd), এবং

নির্বাচনের আগেই নিজেকে চেয়ারম্যান দাবি করে শুভেচ্ছা জানালেন সাংসদকে

  নির্বাচনের আগেই নিজেকে চেয়ারম্যান দাবি করে শুভেচ্ছা জানালেন সাংসদকে। নির্বাচনের আগেই তোরণে ইউপি চেয়ারম্যান দাবি করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের এই মনোনয়নপ্রত্যাশী। শনিবার রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে আবেদনপত্র জমা দিয়েই নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে দাবি করে তোরণ নির্মাণ করেছেন এক মনোনয়নপ্রত্যাশী। রফিকুল ইসলাম ওরফে নান্নু মাস্টার নামের ওই মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থী স্থানীয় সাংসদকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ওই তোরণ নির্মাণ করেছেন। তিনি উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার বিকেলে ছিল পাঙ্গাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পরিচিত সভা। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের সাংসদ মো. আবদুল আজিজ। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা অতিথি হিসেবে ছিলেন। এ উপলক্ষে ইউপির মূল ফটকের সামনে এক