১৬ টি কুফরি বাক্য যা আমরা নিয়মিত বলে থাকি…
কাফির বা কাফের (كافر - kafir) একটি আরবি শব্দ, যা আরবি কুফর ( كفّار - kuffār) ধাতু থেকে আগত, যার শাব্দিক অর্থ হল ঢেকে রাখা, লুকিয়ে রাখা এবং এর ব্যবহারিক অর্থ হল অবাধ্যতা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় কুফর ঈমানের বিপরীত। আর তা হল আল্লাহ এবং তার রাসূলের প্রতি ঈমান না রাখা, চাই তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হোক কিংবা না হোক, বরং তা যদি সন্দেহ ও সংশয় প্রসূতও হয়ে থাকে, কিংবা ঈর্ষা ও অহংকারবশতঃ বা রিসালাতের অনুসরণ থেকে ফিরিয়ে রাখে এমন কোনো প্রবৃত্তির অনুকরণবশতঃ ঈমান থেকে দূরে সরে থাকার কারণেও হয়ে থাকে।
কুফরী বাক্য গুলো নিম্ন রূপ:
১. আল্লাহও লাগে ইল্লাও লাগে।
২.তোর মুখে ফুল চন্দন পড়ুক।
(ফুল চন্দন হিন্দুদের পূজা করার সামগ্রী)
৩.কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে
(কেষ্ট হিন্দু দেবির নাম, তাকে পাবার জন্য কষ্ট করছেন?)
৪.মহাভারত কি অশুদ্ধ হয়ে গেল?
(মহাভারত একটি উপন্যাস, যা সবসময় অশুদ্ধ)
৫.মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।
(এটি ইসলামের নামে কটুক্তি করা)
৬.লক্ষী ছেলে, লক্ষী মেয়ে লক্ষী স্ত্রী বলা।
(হিন্দুদের দেব-দেবির নাম লক্ষী তাই ইসলামে এটি হারাম)
৭.কোন ওষুধকে জীবন রক্ষাকারী বলা।
(জন্ম-মৃত্যু একমাত্র আল্লাহর হাতে)
৮.দুনিয়াতে কাউকে শাহেনসা বলা।
(এর অর্থ রাজাদের রাজাধীকার)
৯.নির্মল চরিত্র বোঝাতে ধোয়া তুলসি পাতা বলা।
(এটি অনইসলামিক পরিভাষা যা হারাম)
১০.ইয়া খাজাবাবা, ইয়া গাউস, ইয়া কুতুব ইত্যাদি বলা।
(এটি শির্ক, ইসলামের সবচেয়ে বড় পাপ)
১১.ইয়া আলি, বলে ডাকা( মানে দোয়া করা অর্থে, আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে কিছু চাওয়া)
(আল্লাহ ছাড়া পৃথিবীর কারোর কাছে কিছু পার্থনা করা শির্ক)
১২.বিসমিল্লায় গলদ বলা।
(এটি সরাসরি কুফরি)
১৩. মৃত্যুর সাথে পান্জালড়া বলা।
(কুফরি বাক্য, তাই সাবধান)
১৪. মধ্যযুগ বর্বরতা বলা।
(মধ্যযুগ ছিল ইসলামের স্বর্ণযুগ)
১৫.মন ঠিক থাকলে পর্দা লাগে না।
(ইসলাম ধ্বংসকারী মতবাদ)
১৬ নামায না পড়লে ঈমান ঠিক আছে বলা। (ইসলাম থেকে বের করার মূলনীতি)
তাই মুসলমান ভাই ও বোনেরা যখন কথা বলবেন খুব সাবধানে কথা বলতে হবে…
আর এসব কথা ভুলেও কখন মুখে আনবে না,,
Comments
Post a Comment
আপনার ইতিবাচক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।