Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2022

মানুষের মাঝে কম কথা বলা নিয়ে কিছু কথা

  মানুষের মাঝে কম কথা বলা নিয়ে কিছু কথা কথা কম বলা মুমিনের অন্যতম একটি মহৎ গুণ। কম কথা বলার অনেক উপকার রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম হলো এতে মানুষ পাপ মুক্ত থাকে। কেননা বেশিরভাগ পাপ হয় বান্দার মুখ ও লজ্জাস্থান থেকে। আমরা যখন কোনো স্থানে বা কোনো ব্যক্তির সাথে কথা বলতে যাবো , তখন যেনো কম কথা বলি। কেননা এমন ও হতে পারে, অতিরিক্ত কথা বলায়, কথার মধ্যে ভুল ত্রুটি হতে পারে । এতে করে আমাদের মানসম্মানের ঘাটতিও হতে পারে। এ জন্য আল্লাহ্ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কম কথা বলা নিয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন…সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো… আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,  ওই ব্যক্তি প্রকৃত মুমিন নয়, যে উপহাস করে, মানুষকে অভিশাপ দেয়, অশ্লীল কথা বলে এবং যে বাচাল। -তিরমিজি বেশি কথা বলার কারণে আমরা খুব সহজেই গুনাহে লিপ্ত হয়ে যাই। গীবত,পরনীন্দা,হিংসা, মারামারি এবং ঝগড়া-বিবাদ এগুলো সব আমরা বেশি কথা বলার কারণে করি।  হাদিসে আরও ইরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে- অন্যথায় চুপ থাকে। অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, যে চুপ থাকে সে মুক্তি পায়। ইসলামিক

জিহ্বা দ্বারা যে ১৯টি গোনাহের কাজ সংঘটিত হয়

  জিহ্বা দ্বারা যে ১৯টি গোনাহের কাজ সংঘটিত হয়  ১) কাউকে খারাপ নামে ডাকা/নাম ব্যঙ্গ করা। ২) কারো সাথে ঠাট্টা বা বিদ্রূপ করা। ৩) অশ্লীল ও খারাপ কথা বলা। ৪) কাউকে গালি দেয়া। ৫) কারও নিন্দা করা। ৬) কাউকে অপবাদ দেয়া। ৭) চোগলখুরী করা। ৮) বিনা প্রয়োজনে কারো গোপনীয়তা ফাঁস করে দেয়া। ৯) মোনাফিকী করা ও দুই মুখে (দ্বিমুখী) কথা বলা। ১০) বেহুদা ও অতিরিক্ত কথা বলা। ১১) বাতিল ও হারাম জিনিস নিয়ে আলোচনা করে আনন্দ লাভ করা। ১২) কারও গীবত করা। ১৩) কারো খারাপ উপনামে ডাকা। ১৪) কাউকে অভিশাপ দেয়া। ১৫) মিথ্যা স্বপ্ন বলা। ১৬) অনর্থক চিৎকার বা চেঁচামেচি করা। ১৭) জিহ্বা দিয়ে হারাম বস্তুর স্বাদ নেয়া, গ্রহণ করা বা খাওয়া। ১৮) জিহ্বা দিয়ে খারাপ অর্থে কাউকে কোন ভঙ্গি করা বা দেখানো। ১৯) কোনো কথা নিশ্চিত না হয়ে অন্যের কাছে বলে বেড়ানো। জিহ্বা সম্পর্কিত একটি ছোট হাদীস: *সাহাল ইবনে সায়াদ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ (স:) বলেছেন, 'যে ব্যক্তি দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী অঙ্গ (জিহ্বা) এবং দুই উরুর মধ্যবর্তী অঙ্গ (লজ্জাস্থান) হেফাজতের নিশ্চয়তা দেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব।' (বুখারী : ৬৪৭৪)