Skip to main content

যারা গান বাজনা শুনেন বা কানে ইয়ারফোনের মাধ্যমে শুনেন তাদের জন্য কিছু ভয়াবহ গুুত্বপূর্ণ কথা…

যারা গান বাজনা শুনেন বা কানে ইয়ারফোনের মাধ্যমে শুনেন তাদের জন্য কিছু ভয়াবয় গুুত্বপূর্ণ কথা…




 ১| ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা মদ, জুয়া ও সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র হারাম করেছেন’। ( বায়হাক্বী, হাদীছ ছহীহ, মিশকাত হা/৪৫০৩; বাংলা মিশকাত ৮ম খণ্ড হা/৪৩০৪)


২| আবু ওমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা গায়িকা নর্তকীদের বিক্রয় কর না, তাদের ক্রয় কর না, তাদের গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র শিখিয়ে দিয়ো না, তাদের উপার্জন হারাম।  (ইবনে মাজাহ, মিশকাত হা/২৭৮০)


নাফে‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা ইবনু ওমর (রাঃ) বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শুনতে পেলে তিনি তাঁর দুই কানে দুই আঙ্গুল ঢুকিয়ে রাস্তা হতে সরে গেলেন। তারপর তিনি আমাকে বললেন, নাফে’ তুমি কিছু শুনতে পাচ্ছ কি? আমি বললাম, না। তিনি তার দুই আঙ্গুল দুই কান হতে বের করে বললেন, আমি একদা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। তিনি বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শুনে কানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে রাস্তা হতে সরে গিয়েছিলেন এবং আমাকে এভাবে জিজ্ঞেস করেছিলেন যেভাবে আজ তোমাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম । (ছহীহ আবূদাঊদ হা/ ৪৯২৪, সনদ ছহীহ)



অত্র হাদীছ দ্বারা বুঝা যাচ্ছে গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্রের শব্দ যেন কানে না আসে তার সম্ভবপর চেষ্টা করতে হবে।



 ৩| আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যখন আমার উম্মত নেশাদার দ্রব্য পান করবে, গায়িকাদের নিয়ে নাচ-গানে মত্ত হবে এবং বাদ্যযন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত হবে তখন অবশ্যই তিনটি ভয়াবহ বিপদ নেমে আসবে:


বিপদ ৩ টি হচ্ছে:

     (১) বিভিন্ন এলাকায় ভূমি ধসে যাবে ।

 

     (২) উপর থেকে অথবা কোন জাতির পক্ষ থেকে যুলুম অত্যাচার চাপিয়ে দেওয়া হবে ।


    (৩) অনেকের পাপের দরুণ আকার-আকৃতি     বিকৃত করা হবে। 


আর এ গজবের মূল কারণ তিনটি: 


    (১) মদ পান করা ।

 

    (২) নায়িকাদের নিয়ে নাচ-গানে মত্ত হওয়া।


    (৩) বাদ্য যন্ত্রের প্রতি আগ্রহী হওয়া।






৪| বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ ‘অবশ্যই অবশ্যই আমার পরে এমন কিছু লোক আসবে যারা যেনা, রেশম, নেশাদার দ্রব্য ও গান-বাজনা বাদ্যযন্ত্রকে হালাল মনে করবে’।

 (বুখারী হা/৫৫৯০)

 


৫| ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘অবশ্যই অবশ্যই আমার উম্মতের কিছু সম্প্রদায় রাত্রী অতিবাহিত করবে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য-পানীয়তে ভোগ বিলাসী হয়ে এবং বিভিন্ন ধরনের বিনোদন আনন্দ প্রমোদে। এমতাবস্থায় তাদের সকাল হবে শুকুর ও বানরের আকৃতিতে রূপান্তরিত হয়ে। (সিলসিলা ছাহীহাহ হা/১৬০৪, ২৬৯৯)

অত্র হাদীছ দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, এক শ্রেণীর অর্থশালী মানুষেরা নানা ধরনের মদ ও পানীয়ের ব্যবস্থা করে অতি ভোগ-বিলাসে দিনাতিপাত করবে। নানা ধরনের আমোদ-প্রমোদে ও বিনোদনে রাত্রী যাপন করবে। এর মাধ্যম হবে নায়িকা, মদ ও বাদ্য যন্ত্র। এ ধরণের লোকেরা শুকুর ও বানরে পরিণত হবে। হয় তাদের আকৃতি শুকুর ও বানরের মত হবে, অথবা তাদের হালাল-হারামের বিবেচনা থাকবে না।





একটি মেয়ে কানে ইয়ার লাগিয়ে গান শুনায় মৃত্যুর অবস্থা…



একজন বৃদ্ধ শায়খ গল্পটা শুনিয়েছেন, যিনি আরবের একটি মসজিদের ইমাম।


তিনি বলেন-একদিন ফজর নামাজ পড়ে বসে আছি এমন সময় তেরো চৌদ্দ বছরের একটি বালক দৌঁড়ে আসল হন্তদন্ত হয়ে। হাফাতে হাফাতে সে আমাকে বলল,আমার আব্বা দ্রুত আপনাকে আমাদের বাসায় নিয়ে যেতে বলেছেন।


আমি তার সাথে দ্রুতপদে তাদের বাসায় গেলাম। দেখলাম, ছেলেটির বাবা আমার অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছে। পঞ্চাশোর্ধ একজন লোক, অস্থির হয়ে আমাকে তিনি বললেন, হুজুর! আমার মেয়ে মৃত্যু পথযাত্রী, তাকে একটু তালকীন করুন।


আমি ঘরের ভেতর প্রবেশ করলাম, দেখলাম বোরকাবৃত করে রাখা হয়েছে তরুণী মেয়েটিকে। তার অবস্থা দেখেই বুঝতে পারলাম, আর বেশি সময় বাকি নেই। শেষ নিঃশ্বাস গুলো শেষ হতে যতক্ষণ।


আমি অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে বললাম, মা ! বলো- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ / কয়েকবার এভাবে তালকীন করলাম।


সে কালিমা তো পড়লোই না, উল্টো চিৎকার করে আমাকে বলল, আমার বুক ভেঙ্গে আসছে, আমার পাজরের হাড্ডিগুলো মচরে যাচ্ছে।


আমি আবার কালিমার তালকিন করলাম, এবার সে এমন একটি বাক্য বলল যা বজ্রের মতো শোনাল আমার কানে। মেয়েটি বলল, ঐ যে আমার জাহান্নাম আমাকে দেখানো হচ্ছে। খোদার কসম, আমি আমার দোযখ দেখতে পাচ্ছি।


এ-কয়টা কথা বলেই সে চলে গেল, হয়তো যে ভয়ংকর স্থান তাকে দেখানো হয়েছিল সেদিকেই নিয়ে যাওয়া হলো কিশোরি মেয়েটির রুহকে। কারণ, যে যে স্থানের অধিবাসী মৃত্যুর পূর্বে তাকে সে স্থানটিই দেখানো হয়।


আমি প্রচণ্ড আঘাত পেলাম, ভয়ে দেহ কাপতে লাগল, মনটা বিষণ্ন হয়ে উঠল। এমন একজন মানুষকে আমাকে দেখানো হলো, যে কি না জা হা ন্নামে যাচ্ছে আমাদেরকে জানিয়ে। এর চেয়ে দুঃখের ও আক্ষেপের বিষয় আর কী হতে পারে!


আমি সবিনয়ে তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা ভাই ! সে কী এমন করতো যে জন্য আজ তার এমন ভয়াবহ পরিণতি হলো ?


মেয়েটির বাবা ঢুকরে কেদে উঠলেন। বললেন, হুজুর ! আমার মেয়ে সবসময় কানে এয়ারফোন দিয়ে গান শুনতো। এই গান-বাজনায় ডুবে সে কোন এবাদতই করতো না, নামাজ- রোজার প্রতি তার ছিল প্রচণ্ড অনীহা।


বৃদ্ধ ইমাম সাহেব বলেন- বুঝতে পারলাম গুনাহ ও পাপের প্রতি নির্ভিক আসক্তি ও এবাদতের প্রতি অবহেলা প্রদর্শনের কারণেই মৃত্যুর সময় কালিমা পরে দেয়ার পরও, মেয়েটি কালিমা পড়তে পারছিল না। তার বুক সংকীর্ণ হয়ে ভেঙ্গে আসছিল।


যাদের গান শুনার শখ আছে তাদের কাছে অনুরোধ, গান শুনা থেকে বিরত থাকুন। সেই সময় হেডফোন দিয়ে কোরআনের তেলওয়াত শুনুন। বড় বড় আলেম ওলামাদের ওয়াজ, লেকচার শুনুন, যা নিজের জীবনের জন্য পথেয় হয়ে থাকবে, বা মোবাইলে কোরআন, হাদিসের এপস নিয়ে পড়ুন।

Comments

Popular posts from this blog

মূর্তির পায়ের নিচে পবিত্র কুরআন রেখে অবমাননা করে দেশে দাঙ্গামা হাঙ্গগামা বাঁধানোর

মূর্তির পায়ের নিচে পবিত্র কুরআন রেখে অবমাননা করে দেশে দাঙ্গামা হাঙ্গগামা বাঁধানোর চেষ্টা চলছে   ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান কুমিল্লার নানুয়ার দিঘীর পাড় পূজা মণ্ডপে মূর্তির পায়ের নিচে পবিত্র কুরআন রেখে অবমাননা করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আজ ১৩ অক্টোবর ২০২১ এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, পূজা মণ্ডপে দেবতার পায়ের নিচে পবিত্র কুরআনের অবমাননা করে দেশে ধর্মীয় দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাঁধানোর চক্রান্ত রুঁখে দিতে হবে। তারা বলেন, পূজা মণ্ডপে মূর্তির পায়ের নিচে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন রেখে অবমাননার নিন্দা ও প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। শতকরা ৯২ ভাগ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যে নিরাপত্তা ও অতিমাত্রায় নাগরিক সুবিধা ভোগ করছে, বিশ্বে এমন দৃষ্টান্ত নজিরবিহীন। তারপরও কিছু স্বার্থান্বেষী চিহ্নিত মহল বারবার ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি ষড়যন্ত্র কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। এহেন পর

2 দিন পর্যন্ত কাজী ইব্রাহিমের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন

দিন পর্যন্ত কাজী ইব্রাহিমের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বাংলাদেশের রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এবং ৪২০, ৪০৬, ৩৮৫ ও ৫০৬ ধারায় চাঁদাবাজি, অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতারণার অভিযোগে মুফতি কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলায় মুফতি কাজী ইব্রাহিমের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পরিদর্শক মো. হাসানুজ্জামান এই রিমান্ডের আবেদন জারি করেন। ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ব্যাবহার করে নানান বক্তব্য দিয়ে আলোচিত মুফতি কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ডিএমপি’র গোয়েন্দা সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে গতকাল সকালে মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে জেডএম রানা নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় ৪২০, ৪০৬ ও ৩৮৫, ৫০৬ ধারায় চাঁদাবাজি, অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতারণার অভিযোগে মুফতি কাজী ইব্রাহিমে

আবার চালু হতে যাচ্ছে মেগাবাইট ছাড়া ফেসবুক আর মেসেঞ্জার, পাঠানো যাবে ফ্রি টেক্সট ছবি ব্যতীত

আবার চালু হতে যাচ্ছে মেগাবাইট  ছাড়া ফেসবুক  আর মেসেঞ্জার, পাঠানো যাবে ফ্রি টেক্সট ছবি ব্যতীত শুরু হতে যাচ্ছে,  মোবাইলে মেগাবাইট না থাকলেও জরুরি প্রয়োজনে ফেসবুক আর মেসেঞ্জার ব্যবহার করে টেক্সট পাঠানো যাবে।কিন্তু কোনো প্রকার ছবি পাঠানো যাবে নাহ। এ সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও মোবাইল অপারেটরগুলো। এজন্য ‘শুধু টেক্সটের মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য ফেসবুক , মেসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপ’ উদ্বোধন করা হবে। একই সঙ্গে ‘মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা’ও প্রকাশ করবে বিটিআরসি। পাশাপাশি ফোনের ব্যাপক ব্যাবহার যোগ্য অ্যাপস ফেসবুক লাইট & অফিসিয়াল ফেসবুক ফ্রি তেই চালানো যাবে।এবং মেসেঞ্জার এ টেক্সট করা যাবে কিন্তু ছবি আদান প্রদান করা যাবে নাহ। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ‘মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা এবং শুধুমাত্র টেক্সটের মাধ্যমে ফেসবুক মেসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপ’ উদ্বোধন করা হবে। বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং সচিব মো. খলিলুর রহমান উপস্থিত থাকবেন। বিটিআরসি

হেমন্তকালীন বন্যা তিস্তা ব্যারেজ

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে অসময়ে বন্যা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে এখন বিপদসীমার  ৫০ সেমি উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।  ভারতে তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ব্যারাজের কয়েকটি গেট খুলে দেয়ায় ২৫২০০০ কিউসেক পানি প্রবাহিত হচ্ছে। হলুদ সতর্কতা জারী।  লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, পাটিকাপাড়া, সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নগুলোর অংশবিশেষ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে অসংখ্য করা যাচ্ছে। হেমন্তকালীন বন্যা থেকে আল্লাহ সকলকে রক্ষা কর।

কলেজ ছাত্র কে অপহরণ করে বিয়ে করলেন তরুণী

  কলেজ ছাত্র কে অপহরণ করে বিয়ে করলেন তরুণী পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ছাত্র নাজমুল আকনকে (২৩) অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণীর বিরুদ্ধে। গত ৩ অক্টোবর নাজমুল বাদী হয়ে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এক নারীসহ অজ্ঞাত ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। নাজমুল মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের জালাল আকনের ছেলে। রবিবার (১৭ অক্টোবর) নাজমুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, নাজমুল পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একজন ছাত্র। তিনি সরকারি কলেজের আবাসিক হোস্টেলে থাকেন। দীর্ঘ দিন ধরে নাজমুলকে মুঠোফোনে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রলোভন দেখাচ্ছিলেন এক নারী। কিন্তু নাজমুল রাজি না হওয়ায় ২৭ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করে। ২৮ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ৭ থেকে ৮ জন লোক জোর করে তাকে দিয়ে একটি নীল কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। ধারণা করা হচ্ছে, এ দিয়ে তারা একটি কাবিননামা তৈরির চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আদালত মামলাটি এজাহা

২০২২ সালের এসএসসি হবে এপ্রিলে এবং এইচএসসি হবে জুনে…

২০২২ সালের  এসএসসি হবে  এপ্রিলে এবং এইচএসসি হবে জুনে…  আগামী ২০২২ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা এপ্রিলে এবং উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা জুন মাসে অনুষ্ঠিত হবে। দুটি পরীক্ষাই হবে সীমিত বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। এছাড়া চলতি বছরের মতোই পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে গ্রম্নপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অন্য বিষয়গুলো অ্যাসাইমেন্টভিত্তিক মূল্যায়ন করা হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র আরও জানায়, আগামী বছরের শুরুতেই গ্রম্নপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস দেওয়া হবে এবং তারই ভিত্তিতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস শেষ করেই এপ্রিলে এসএসসি এবং জুনে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এবং ঢাকা বোর্ড সচিব তপন কুমার সরকার মঙ্গলবার যায়যায়াদিনকে বলেন, নভেম্বরে এসএসসি, ডিসেম্বরে এইচএসসি এবং স্কুলগুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা চলবে। ফেব্রম্নয়ারিতে তাই এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। এছাড়া পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদে

মাদ্রাসা ও কারিগরির এমপিওভুক্তির আবেদন শুরু ১০ অক্টোবর, HM MEDIA 19

মাদ্রাসা ও কারিগরির এমপিওভুক্তির আবেদন শুরু ১০ অক্টোবর। দুই বছর পর আবার বেসরকারি স্কুল–কলেজ এমপিওভুক্ত করতে যাচ্ছে সরকার। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ( কারিগরি ও মাদ্রাসা) এমপিওভুক্তকরণ কার্যক্রম শুরু ১০ অক্টোবর। অনলাইনে এ আবেদন কার্যক্রম ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। একই দিনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে বেসরকারি স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্ত করতে আলাদা একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা মাসে বেতনের মূল অংশ ও কিছু ভাতা সরকার থেকে পেয়ে থাকেন। এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে দীর্ঘ ৯ বছর পর ২ হাজার ৭৩০টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করেছিল সরকার। তারও আগে ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। এই এমপিওভুক্তির দাবিতে বিভিন্ন সময় শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (www.shed.gov.bd), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (www.dshe.gov.bd), এবং

নির্বাচনের আগেই নিজেকে চেয়ারম্যান দাবি করে শুভেচ্ছা জানালেন সাংসদকে

  নির্বাচনের আগেই নিজেকে চেয়ারম্যান দাবি করে শুভেচ্ছা জানালেন সাংসদকে। নির্বাচনের আগেই তোরণে ইউপি চেয়ারম্যান দাবি করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের এই মনোনয়নপ্রত্যাশী। শনিবার রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে আবেদনপত্র জমা দিয়েই নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে দাবি করে তোরণ নির্মাণ করেছেন এক মনোনয়নপ্রত্যাশী। রফিকুল ইসলাম ওরফে নান্নু মাস্টার নামের ওই মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থী স্থানীয় সাংসদকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ওই তোরণ নির্মাণ করেছেন। তিনি উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার বিকেলে ছিল পাঙ্গাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পরিচিত সভা। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের সাংসদ মো. আবদুল আজিজ। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা অতিথি হিসেবে ছিলেন। এ উপলক্ষে ইউপির মূল ফটকের সামনে এক

সাড়ে ৬ কোটির বেশি হাফেজ রয়েছে সারা বিশ্বে

  সাড়ে ৬ কোটির বেশি হাফেজ রয়েছে সারাবিশ্বে ছবি সংগৃহীত হাফেজ বলতে ইতি মধ্যে সবারই জানা আছে।হাফেজ বলতে বুঝানো হয়, যার সমস্ত কোরআন মুখস্থ আছে। সারাবিশ্বে হাফেজে কোরআনদের বেশ সম্মানের চোখে দেখা হয়, সম্মান করা হয়। কোরআন ব্যাতীত পৃথিবীতে আর কোনো বই কী আছে, যার শুরু থেকে শেষ অবধি কেউ মুখস্থ করেছেন? মনে হয় নেই, কারণ তা সম্ভব নয়। কিন্তু বিশ্বে পবিত্র কোরআনের সাড়ে ৬ কোটিরও বেশি সংখ্যক হাফেজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে একটি জরিপ সংস্থা। সংস্থাটি জানিয়েছে, এটা একটি মতামতভিত্তিক জরিপ। জরিপের ফলাফল প্রকাশের সময় সংস্থাটি আরও জানিয়েছে। প্রতিদিন এ সংখ্যা বেড়ে চলেছে। আর এমন মানুষ আছেন, যারা কোরআন মুখস্থ করেছেন, কিন্তু প্রকাশ করেননি। ৪-৫ বছর বয়সের শিশু থেকে শুরু করে, নারী, যুবক, অন্ধ এমনকি বৃদ্ধরাও ত্রিশপারার বিশাল কিতাব পুরোপুরি মুখস্থ করেছেন, অনেক অমুসলিমও কোরআন মুখস্থ করেছেন। কোরআন ব্যতীত এমন নজির আর আছে কি? এটা আল্লাহর কালাম কোরআনের অলৌকিকতা আর কী হতে পারে? পৃথিবীর সমস্ত ছাপা কোরআন, রেকর্ড, ক্যাসেট, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি ধ্বংস করে ফেললেও এর কপি হাফেজদের কাছ থেকে সহজেই পাওয়া যাবে। অন্যকোনো গ্রন্থের এমনটি অসম্ভ