নির্বাচনের আগেই নিজেকে চেয়ারম্যান দাবি করে শুভেচ্ছা জানালেন সাংসদকে।
- নির্বাচনের আগেই তোরণে ইউপি চেয়ারম্যান দাবি করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের এই মনোনয়নপ্রত্যাশী। শনিবার রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে।
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে আবেদনপত্র জমা দিয়েই নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে দাবি করে তোরণ নির্মাণ করেছেন এক মনোনয়নপ্রত্যাশী। রফিকুল ইসলাম ওরফে নান্নু মাস্টার নামের ওই মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থী স্থানীয় সাংসদকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ওই তোরণ নির্মাণ করেছেন। তিনি উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার বিকেলে ছিল পাঙ্গাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পরিচিত সভা। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের সাংসদ মো. আবদুল আজিজ। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা অতিথি হিসেবে ছিলেন। এ উপলক্ষে ইউপির মূল ফটকের সামনে একটি তোরণ নির্মাণ করেন পাঙ্গাসী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী রফিকুল ইসলাম ওরফে নান্নু মাস্টার। তোরণের নিচের অংশে লেখা রয়েছে, ‘শুভেচ্ছান্তে রফিকুল ইসলাম (নান্নু), চেয়ারম্যান, ৮ নম্বর পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদ, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ’।
- রফিকুল ইসলাম কেবল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী পর্যায়ে রয়েছেন। এর মধ্যেই তাঁর তোরণে লেখা হয়েছে, ‘শুভেচ্ছান্তে রফিকুল ইসলাম (নান্নু), চেয়ারম্যান, ৮ নম্বর পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদ’।
জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমপির আগমন উপলক্ষে ওই তোরণ আমি লাগিয়েছি। তবে চেয়ারম্যান শব্দের পর পদপ্রার্থী শব্দটি না থাকা মিসটেক হয়ে গেছে। কম্পিউটারে যিনি লিখেছেন, এটা তাঁর ভুল। খুব তাড়াতাড়ি বিষয়টি সংশোধন করে দেওয়া হবে।’
তবে পাঙ্গাসী বাজার এলাকার তিনজন বলেন, তোরণ নির্মাণকারী রফিকুল ইসলামকে এলাকার সবাই নান্নু বিএসসি মাস্টার হিসেবে চেনে। তিনি এলাকায় চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। তোরণে কেন এমন ভুল করলেন, তা বোঝা যাচ্ছে না।
ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, শুক্রবার সকালে পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে ওই তোরণ লাগানোর পর থেকেই বিভিন্ন লোকের নানা ধরনের কথা শুনতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি বিব্রত বলে জানান।
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি জানার পর তোরণটি অপসারণ করার জন্য বলা হয়েছে।
Comments
Post a Comment
আপনার ইতিবাচক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।