সন্তানকে গালিগালাজ অথবা অভিশাপ দিলে কি ক্ষতি হয়…জেনে নিন…
সন্তান যতই দুষ্টামি করুক, তাদেরকে অভিশাপ দেওয়া এবং গালিগালাজ করা থেকে বিরত থাকুন! না হলে বিপদ আসবেই! সাবধান! সকল মা-বাবা এবং সব অভিভাবকদের জন্য জানার, বোঝার এবং মেনে চলার বিষয়!!
সন্তান যতই ভুল করুক তাদের জন্যে সব সময় ভালো দু'আ কামনা করা আমাদের সবার দায়িত্ব!!
⇛কেননা.....
➤আপনি রাগ হয়ে বললেনঃ "মর তুই" ফেরেশতা বললেনঃ "আ-মীন!"
➤ আপনি রাগ হয়ে বললেনঃ "তোর ভবিষ্যৎ অন্ধকার!" ফেরেশতা বললেনঃ "আ-মীন!"
➤আপনি রাগ হয়ে বললেনঃ"তোর মুখ দেখতে চাই না!" ফেরেশতা বললেনঃ "আ-মীন!"
➤আপনি রাগ হয়ে বললেনঃ "জীবনে স্বামীর ভাত খাইতে পারবি না!" ফেরেশতা বললেনঃ"আ-মীন!"
➤ আপনি রাগ হয়ে বললেনঃ " মরার সময় তো পানি পাবি না!" ফেরেশতা বললেনঃ "আ-মীন!"
আপনি রাগ হয়ে বললেনঃ "তুই তো ফেল নিশ্চিত!" ফেরেশতা বললনঃ "আ-মীন!"
➤আপনি রাগ হয়ে বললেনঃ "আমার লাশ দেখবি!" ফেরেশতা বললেনঃ "আ-মীন!"
-------এধরণের সকল কথার শেষে ফেরেশতাগণ বলেন, আ-মীন! যার কারণে না চাইতেও অনেক বদ'দু'আ চলে আসে এবং তা সন্তানের উপর পতিত হয়ে থাকে!
-------আপনিই তো সেই মানুষ! যিনি আপনার সন্তানকে যেভাবে ভালোবাসেন এর চেয়ে বেশি ভালো জীবনে অন্য কাউকে বাসেন কি? নিশ্চয়ই নিজেকেও না!
-------আপনিই তো সেই মানুষ, যার চেয়ে আন্তরিক দু'আ এই পৃথিবীততে আপনার সন্তানের জন্য কেউ করবে না তার জন্যে! এমনকি, সে নিজেও না!
➡জেনে রাখুন, এম্নিতেই মানুষের সব কথার শেষে ফেরেস্তাগণ আ-মীন আ-মীন বলেন। আর সন্তানের জন্য বাবা মা'র মুখ থেকে বের হওয়া প্রতিটি শব্দ মারাত্মক শক্তিশালী মিসাইল একেক টা!
সুতরাং আসুন! আমরা এর মর্যাদা বুঝি এবং এর অপব্যবহার না করি!
খুব কস্ট পাই অনেক বাবা মা'র ভাষা শুনে! অবাক হই, এদেরকে ও আল্লাহ্তালা সন্তান দেন!!
হ্যাঁ! সন্তান অন্যায় করেছে! কিন্তু মা-বাবা হিসেবে এ ধরণের ভাষা ব্যবহার না করে আসুন বলিঃ
-------"আল্লাহ তোমাকে হিদায়াত দিন, আমার জন্য চক্ষু শীতলকারি বানান!"
অথবা বলতে পারেনঃ
-------"আল্লাহ তোমাকে আবু বকর(রাঃ) বা ওমর(রাঃ) বা উসমান(রাঃ) বা আলী(রাঃ) এর মতো বানান!"
-------"আল্লাহ তোমাকে খাদিজা(রাঃ) বা আয়েশা(রাঃ) বা ফাতিমা(রাঃ) মতো বানান!"
-------"আল্লাহ তোমাকে কাবা ঘরের বা মসজিদে নববীর ইমাম বানান!"
আল্লাহুম্মা আ-মীন!
রাগের সময়ও আমাদের বা মা-বাবার বলা কথা বা অভিশাপ দেওয়া এগুলোও আল্লাহ কবুল করেন!
তাই যখনি বুঝবেন কোন কিছুতে রাগ উঠে যাচ্ছে এবং মেজাজ এর টেম্পারেচার বাড়ছে! শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার জন্য তখনি বলোনঃ
"'আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্ব-নির রজিম!"
-------এই কালাম মনে মনে পড়তে থাকবেন, দেখবেন নিজের প্রতি নিজের কন্ট্রোল চলে এসেছে ইন শা আল্লাহ!
আর সালাতের শেষে এবং বিভিন্ন দু'আ পাঠ এবং তাসবীহতাহলীল পাঠের সভয় আমাদের এই দু'আ বেশি বেশি পড়া উত্তম....
"ওয়াল্লাজিনা ইয়াকু-লুনা রাব্বানা হাবলানা মিন আঝওয়া জিনা-ওয়া যুররিইইয়া-তিনা কুররাতা আ-ইউ-নিওঁ ওয়াজ আলনা লিল-মুত্তাক্বীনা ইমামা"
-------"হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী (নারীদের জন্য স্বামী) ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন!"
-----(সূরা আল-ফুরকানঃ ৭৪)
➥দু'আর প্রেক্ষাপটঃ
প্রকৃত ঈমানদার ও জান্নাত আকাঙ্খীরা তাদের দুনিয়ার পারিবারিক জীবন সুন্দর করতে এবং মহান আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে দুনিয়ার জীবনে যথাযথভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে আল্লাহর দরবারে এরূপ দু'আ প্রার্থনা করে থাকেন!
মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে সঠিক এবং পরিপূর্ণ ভাবে জানার, বোঝার এবং মেনে চলার তাওফীক দান করুন এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা, কবুল ও হিফাযত করুন(আ-মীন)।।
Comments
Post a Comment
আপনার ইতিবাচক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।